১৯১৬ সাল , পেটেন্ট অফিসের অখ্যাত এক কেরানি নিউটনের সূত্রকে ভুল প্রমাণ করার জন্য উঠে পরে লেগেছে । নিউটন মনে করতেন সময় স্থির ,সবার কাছে একই । কিন্তু ১৯০৫ সালে নিউটনের ধারণা উল্টে পাল্টে দিয়ে অখ্যাত সেই কেরানি দেখালেন ভিন্ন ভিন্ন দর্শকের কাছে সময় ভিন্ন । ঝামেলাটা এই জায়গা লাগলো । দর্শক ভিন্ন তাহলে স্থান ভিন্ন হবে না কেন ? তিনি ১৯০৫ সালে বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রকাশ করেন এবং সময়ের আপেক্ষিকতার নতুন ধারণাটি প্রকাশ করেন । ১৯১৬ সালে সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রকাশ করেন এবং নতুন মাত্রা স্থান কালের ধারণা দেন । সেই কেরানি আর কেউ নয় , সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হাবাগোবা আলবার্ট আইনস্টাইন।
বিজ্ঞানের বাহিরে কিছু লিখতে চাইলেও বিজ্ঞান-অজ্ঞান এসে পরে । যাইহোক জ্বীন কেন দেখি না এটা বুঝতে হলে প্রথমে ডাইমেনশন/ মাত্রা জিনিসটা বুঝতে হবে।
শুরু করি মাত্রা দিয়ে…..
পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে মূল্যবান চিন্তাসমূহের একটি হলো মাত্রা । পদার্থবিজ্ঞানীরা দাবি করে ২২টি মাত্রা আছে ।স্ট্রিং থিওরি প্রমাণ করতে কমপক্ষে ১০ টি মাত্রা লাগবেই। কিন্তু আপেক্ষিক তত্ত্ব মতে করতে ৪ মাত্রা হলে যথেষ্ট ।আমাদের চারপাশ যে জগৎ তা চার মাত্রার । দৈর্ঘ্য ,প্রস্থ,উচ্চতা ,এবং স্থান-কাল এই হলো আমাদের জগতের মাত্রা। কিন্তু আমরা দেখতে পাই তিন মাত্রা এবং আমরা ফিল করি তিন মাত্রা দৈর্ঘ্য,প্রস্থ ও উচ্চতা ।
কেন আমরা তিন মাত্রা ফিল করি ? আসলে আমাদের বস্তুজগৎ চার মাত্রার । তাই আমরা তিন মাত্রা দেখতে পাই (n-1) । কোনো প্রাণী “n” মাত্রার জগৎ এর অংশ হলে (n-1) মাত্রা ফিল করে অথবা দেখতে পায় , আর সেই ফিল করা মাত্রাই হলো ওই প্রাণীর নিজের অবস্থান । যেমন , আমাদের জগৎ 4 মাত্রার কিন্তু আমরা 3 মাত্রা পর্যন্ত দেখতে পারি । তাই আমরা 3 মাত্রার প্রাণী ।
যারা জিরো মাত্রার প্রানী তারা অচল এবং যারা ওয়ান মাত্রার জগতের প্রানী তারা ফিল করবে জিরো মাত্রা এবং তারা শুধু মাত্র দেখতে পারবে জিরো মাত্রার প্রানিকে কিন্তু জিরো মাত্রার প্রাণী কখনো ওয়ান মাত্রার প্রানিকে দেখতে পারবে না। যারা দুই মাত্রার প্রানী তারা কখনো তিন মাত্রার প্রাণী কে দেখতে পারবে না কিন্তু তিন মাত্রার প্রানী তাকে দেখতে পারবে । ঠিক তেমনি আমরা তিন মাত্রার প্রাণী , আমরা কখনো চারমাত্রা ফিল করতে পারবো না অর্থাৎ যারা চার মাত্রায় অবস্থান করে তারা আমাদের দেখতে পারবে কিন্তু আমরা কখনো চার মাত্রার প্রানিকে দেখতে পারবো না । জ্বীন আসলে চার মাত্রার প্রাণী , মাত্রার হিসাব থেকে দেখলে জ্বিনের জগৎ 5 মাত্রা দিয়ে গতিত। তাই জ্বীন আমাদের দেখতে পারে এবং আমরা তিন মাত্রার প্রানী তাই জ্বিনকে দেখতে পারি না । জ্বীন হলো সেই প্রাণী যে স্থানকাল মাত্রায় (চারমাত্রা) অবস্থান করে আর মানুষ তিন মাত্রায় অবস্থান করে । তাই আমরা কখনো জ্বিনকে দেখতে পারবো না ।তবে জ্বীন আমাদেরকে দেখতে পাবে । পৃথিবীতে কোনো দ্বিমাত্রার প্রাণী থাকলে আমরা সেই প্রানীকে দেখতে পাই এবং সেই প্রানী আমাদেরকে দেখতে পায় না কিন্তু আদৌ দ্বিমাত্রার কোনো প্রাণী আসে কিনা সেটা আমরা জানি না । হয়ত এমন কোনো প্রাণী আছে যারা আমাদেরকে দেখে না কিন্তু আমরা দেখি । সত্যি কথা বলতে কি এমন প্রাণী থাকলেও আমরা চিনি/জানি না । কারণ আমরা তো কারো চোখ দিয়ে দেখি না। তবে আমরা জানতে পারি যখন মহান আল্লাহ আমাদেরকে স্বেচ্ছায় তাঁর প্রকৃতি সম্পর্কে আমাদের জানান । তার বেশি আমরা জানতে পারবো না । তার প্রকৃতি সম্পর্কে বলা আছে পবিত্র কোরআনে ।